প্রতিবন্ধী মানবাধিকার কল্যাণ সংস্থা Disability Human Right Welfare Organization (DHRWO) সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধনকৃত একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক, বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবামূলক সংস্থা যাহা ২০০৬ সালে রেজিস্ট্রেশন পেয়েছে। অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংস্থার বিপিডিএ এর সাথে কার্যক্রম পল্লী, প্রাথমিক, প্যারামেডিক্স, ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণধারী (যারা বিএমডিসি’র নিবন্ধিত নয়) তাদের অধিকার আদায়ে সহায়তা ও দিক নির্দেশনা প্রদানসহ আইনগত সহায়তা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি প্রতিবন্ধি ও অটিজমদের, স্বাস্থ্য শিক্ষা, কর্মসূচী প্রশিক্ষণ আইনী সহায়তা প্রদানে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি সংক্রামক ব্যাধি, কোভিড-১৯ মত দূর্যোগ মোকাবিলা ও সাধারণ মানুষের মহামারীর বিষয় রক্ষা পায় এজন্য এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, স্টেরয়েডের অপব্যবহার রোধে ঔষধ প্রশাসন ও বিএমডিসি’র আইন মেনে প্রাথমিক চিকিৎসার মান উন্নয়ন কল্পে টেলিমেডিসিনের ব্যবহার রেফারেল সিস্টেম বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সংস্থার ৪ ধারা উপধারা ৪ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দেশের জিডিপি’র হার প্রবৃদ্ধির লক্ষে দেশের উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন এর লক্ষে বাংলাদেশ সরকারের রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত ইএসডিপি ও বিডা’র রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে লিয়াজো করে স্বাস্থ্য-শিক্ষা-প্রযুক্তিমূলক প্রশিক্ষণ সহ দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণের আয়োজন ও পর্যবেক্ষণ করাসহ সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিউনিটি বেইজ হেল্থ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিপিডিএ’র প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে পার্টনারশীপ অর্গনাইজেশন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনেক কম, প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় নেই পর্যাপ্ত পরিমান জিপি সেন্টার। ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষ তৃণমূল পর্যায়ে সঠিক দিক নির্দেশনা না পেয়ে বহুমূখী ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশের চিকিৎসার উপর আস্থা না পেয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জন আংশিক হলেও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো’র দেশেই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে বিপিডিএ চালু করেছে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে জিপি সেন্টার।
২০২২ সালের হাউস হোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভের প্রিলিমিনারি রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে এখনো হাতুরে ডাক্তার বা ফার্মেসীর দোকানির সম্মুখীন হয়। এ রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ৬০ শতাংশ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানকারীদের এন্টিবায়োটিক স্টেরয়েডের অপব্যবহার রোধ ও গণ মানুষের দোড়গোরায় সঠিক চিকিৎসা প্রদানের স্বার্থে রেফারেল সিস্টেম চালু করার জন্য সারাদেশের এসব প্রাথমিক, পল্লী, প্যারামেডিক্স ও ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণধারি সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ। ডিজএ্যাবিলিটি হিউম্যান রাইটস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন এর প্রতিবেদন অনুসারে রংপুর বিভাগের ১টি সিটি কর্পোরেশন, ৮টি জেলা, ৩১টি পৌরসভা, ৫৮টি উপজেলা ও ৫৩৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। এসব প্রাথমিক চিকিৎসা সেবায় কর্মরত উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে এবং প্রচলিত বিএমডিসি ও ঔষধ প্রশাসনের আইন সম্পর্কে ধারণা, টেলিমেডিসিন ব্যবহারের উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৬০ শতাংশ মানুষকে বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন ডাক্তার দ্বারা প্রাপ্ত চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনায় বিপিডিএ’র সকল প্রতিষ্ঠান, পার্টনার অর্গানাইজেশন সমন্বয় ভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছে।
রংপুর সহ দেশের প্রত্যেক বিভাগের সাধারণ মানুষ অনেকে চিকিৎসা নিয়ে প্রাথমিকভাবে সঠিক রেফারেল সিস্টেম চালু না থাকার ফলে ভোগন্তিতে পরে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অন্যান্য সুবিধা কম থাকায় জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে রংপুর সহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে। চিকিৎসার সাজানো নগরী হিসেবে সারাদেশে খ্যাত এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা অর্জন করায় কিছু সমস্যার ফলে সাধারণ মানুষ রংপুরসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরগুলোতে কিছু অসৎ মানুষের খপ্পরে পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর নিকট না গিয়ে বিভিন্নভাবে আর্থিক ক্ষতিসহ সু-চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। গণমানুষের এ সকল অসুবিধা রোধে বিপিডিএ নিজস্ব পরিকল্পনায় জিপি সেন্টার স্থাপন করে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা সেবার সহায়তা প্রদান করার স্বার্থে মানসম্মত সেবা প্রদানকারী বেসরকারি ভাবে পরিচালিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির কাজ চলমান আছে। এ সংক্রান্ত একটি পাইলট প্রজেক্টের কাজ রংপুর শহরে সর্বপ্রথম শুরু হয়েছে।
রোগীর সেবা প্রদানের স্বার্থে বে-সরকারি ভাবে পরিচালিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সারাদেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি করছে বিপিডিএ হেল্থ এডুকেশন ট্রেনিং এন্ড টেকনোলজি লিমিটেড’র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান “বিশ্বের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত ফাইলেরিয়া হাসপাতাল” সৈয়দপুর ফাইলেরিয়া এন্ড জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ল্যাব। এছাড়াও চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণবিহীন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করার জন্য অত্র প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে।