পেশাজীবি সংগঠন বিপিডিএ এর কর্মকান্ড

বিপিডিএ এর আওতাধীন সকল প্যারামেডিক্স চিকিৎসককে হাতে-কলমে বিশ্বের সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত ফাইলেরিয়া এন্ড জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ল্যাবে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশ ও সরকারের প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ সহজভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বিপিডিএ এর সকল সদস্যদের বৈধভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ কর্মস্থলে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সঠিক রোগ নির্ণয়, এন্টিবায়োটিক, ষ্টোরয়েডের অপব্যবহার রোধকল্পে ও রেফারেল সিস্টেম চালুর জন্য সকল সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ সদস্যদের আইনগত সহায়তা, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে প্রাথমিক চিকিৎসা উন্নয়নকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  গ্রহণসহ পেশাগত বৈধতা, হয়রানি বন্ধ ও বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ সাপেক্ষে সরকারের স্বীকৃতি আদায় করাই বিপিডিএ এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।সমাজ ও দেশের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে কোন বিষয়ের উপর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করাকে আমরা উদ্যোক্তাদের সংগঠন বলে থাকি। তেমনি বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার এসোসিয়েশন একটি পেশাজীবি উদ্যোক্তাদের সংগঠন যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে পরিচালিত উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হতে  নিবন্ধিত উদ্যোক্তার রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত  একটি সংগঠন। যাহার রেজিঃ নং-৮৫৫০৯৬।

দেশের একমাত্র এবং প্রথম এন্টিবায়োটিক ও ষ্টোরয়েড এর অপব্যবহার রোধ, টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা প্রদান এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক চিকিৎসকগণকে সুসংগঠিত করে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ নিরাপদ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করে আসছে।


বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় এমবিবিএস, বিডিএস, ভেটিরিনারী সার্জনসহ ব্যাচেলর চিকিৎসক তুলনামূলক অনেক কম। এই কম সংখ্যক চিকিৎসকের মাধ্যমে এত জনবহুল দেশের গ্রাম অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে নিশ্চিত করা অসম্ভব। প্রত্যন্ত অঞ্চল ও স্বল্প আয়ের প্রায় ৮৫% সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক, পল্লী, প্যারামেডিক্স, ডিপ্লোমা, ফার্মেসী হোল্ডার, গ্রাম-গঞ্জে গড়ে ওঠা হাজার হাজার রেজিষ্টার্ড ও ননরেজিষ্টার্ড ঔষধের দোকানে গিয়ে মাঝে-মধ্যে ভুল চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। হাতের কাছে বিএমডিসি এর রেজিস্টার্ড চিকিৎসক না থাকায় প্রাথমিক/পল্লী/গ্রাম/প্যারামেডিক্স ডাক্তারদের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে গিয়ে সঠিক/দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ না থাকায় প্রায় ভুল চিকিৎসা, এন্টিবায়োটিক, ষ্টোরয়েড ইত্যাদির অপব্যবহার এর স্বীকার হয়ে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ ও জটিল ভাবে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরনাপন্ন হচ্ছেন। এসব ভুল চিকিৎসা, এন্টিবায়োটিক, ষ্টোরয়েড ইত্যাদির অপব্যবহার রোধে কাজ করছে বিপিডিএ। এছাড়া যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান, জটিল ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রেফারেল সিস্টেম চালু, প্রাথমিক/পল্লী/গ্রাম/প্যারামেডিক্স ডাক্তারদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় ও ডাটাবেইজ তৈরির কাজে সদা তৎপর রয়েছে সংগঠনটি। বিপিডিএ’র সদস্যগণদের প্রশিক্ষণ প্রদান করার মাধ্যমে সরকারীভাবে স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ঔষধ প্রশাসনের পরিপত্র ও আইন অনুযায়ী টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বিপিডিএ নামক অত্র সংগঠনটি।