দেশের প্রচলিত আইন মেনে বিপিডিএ’র নিয়মিত সদস্যদের নিরাপদে-নির্বিঘেœ প্রাক্টিস করার আইনত সহয়তা প্রদান করতে উদ্যোক্তাদের পেশাজীবি সংগঠন বিপিডিএ বদ্ধপরিকর। তবে একথা সর্বজনস্বীকৃত যে বিপিডিএ’র সকল সদস্যদের দেশের প্রচলিত আইন মেনে পেশার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এবং একমাত্র আমরাই বিপিডিএ’র নিয়মিত সদস্যদের নিরাপদ নির্বিঘেœ প্রাক্টিস করার জন্য বিএমডিসি’র টেলিমেডিসিন গাইড লাইন জুলাই ২০২০ আলোকে গ্রামীণ পর্যায়ে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা গণমানুষের দোরগোড়ায় টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে পৌঁছানের প্রত্যয়ে বিএমডিসি ও ঔষুধ প্রশাসনের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সরকারি ভাবে নিবন্ধন পেয়েছি। *বিএমডিসি আইন-২০১০ স্পট উল্লেখ আছে আমাদের দেশে রেজিস্টার্ড ডাক্তার এমবিবিএস ও বিডিএস। বিএমডিসি আইন-২০১০ এর ধারা-২২ এ স্পটভাবে উল্লেখ আছে নিবন্ধন ব্যতিত এলোপ্যাথি চিকিৎসা নিষিদ্ধ। উপধারা-১ অন্য কোন আইনে যাহা থাকুক না কেন এই আইনের অধীনে নিবন্ধন ব্যতিত কোন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এলোপ্যাথি চিকিৎসা করতে অথবা নিজকে মেডিকেল চিকিৎসক বা ক্ষেত্রমতে ডেন্টাল চিকিৎসক বলে পরিচয় প্রদান করতে পারবে না।
উপধারা-২. কোন ব্যক্তি উপধারা-১. এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন। সম্প্রতি ৬ এপ্রিল ২০২৩ ঔষধ ও কসমেটিক্স আইন ২০২৩ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের উত্থাপিত হয়েছে এবং গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। *৩৬ পৃষ্ঠার এই গেজেটে ১৮ পৃষ্ঠা ৪০ ঘ. ও ৩৪ পৃষ্ঠা ২০ নম্বরে উল্লেখ আছে Over the counter ওটিসি ঔষধ ছাড়া রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের এমবিবিএস ও বিডিএস ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোন ঔষুধ বিক্রি করলে অনাধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড।
২০২২ সালের হাউস হোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভের প্রিলিমিনারি রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে এখনো হাতুরে ডাক্তার বা ফার্মেসী দোকানির সম্মুখীন হয়।
উল্লেখিত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিমেডিসিন সেবা বে-সরকারিভাবে পৌঁছাতে না পারলে বর্তমান বিএমডিসি ঔষধ প্রশাসনের আইন বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। বিএমডিসি ও ঔষধ প্রশাসনের আইন বাস্তবায়ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বে-সরকারি ভাবে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়েছে। এন্টিবায়োটিক, স্টেরয়েডের অপব্যবহার রোধে গণমানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে প্রত্যেক পল্লী, প্যারোমেডিক্স, ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণধারী এবং ঔষধ কোম্পানীতে কর্মরত উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ যৌথভাবে টেলিমেডিসিন সেবায় অন্তর্ভুক্ত ও সহযোগিতা করে প্রচলিত আইন মেনে ব্যবসা/পেশার সুরক্ষা ধরে রাখতে হবে। অন্যথায় জটিল আইনি ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে।