উদ্যোগ একটা সাধারণ পরিভাষা। নতুন কোনো বিষয়ে যিনি প্রয়াস নিয়ে সামনে অগ্রসর হন তাকেই সাধারণ ভাষায় উদ্যোক্তা বলা হয়। একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা, স্কুলে কলেজ শিফট চালু করা, এলাকায় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন, গ্রামের বাজারে মোবাইল ব্যাংকিং এর চেইন পয়েন্ট চালু, মহল্লায় বিউটি পার্লার খোলা- এর সবই উদ্যোগের উদাহরণ। দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ, রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার প্রয়াস, আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন এগুলোও উদ্যোগেরই আওতাভুক্ত। উদ্যোগের যে অংশ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত তাই ব্যবসায় উদ্যোগ। নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র চিহ্নিতপূর্বক প্রয়োজনীয় উপকরণাদি মুনাফা অর্জন ও উন্নতি লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে যিনি কোনো নতুন ব্যবসা শুরু করেন তিনিই ব্যবসায় উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা সাধারণ ব্যবসায়ী নন, পেশাদার ব্যবস্থাপকও নন; বরং তার চেয়ে বেশী কিছু। উদ্যোক্তারা সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করে ঝুঁকি নিয়ে অগ্রসর হতে পছন্দ করেন, অন্যের অধীনে চাকরি না করে নিজ উদ্যোগে অধিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে থাকেন। উদ্যোক্তারা ছোট থেকে শুরু করেন বটে, কিন্তু তাঁদের চিন্তা ছোট পরিসরে সীমাবদ্ধ থাকে না; নতুন নতুন ব্যবসায় বা শিল্প গড়ে তুলেন। উদ্যোক্তাদের চিন্তায়-মননে, স্বপ্নে সাফল্য অর্জনের তীব্র আকাঙ্খা তাড়া করে বেড়ায়। এমন উদ্যোক্তা শ্রেণীর মানুষ যেকোনো দেশের অনেক বড় সম্পদ। তেমনি বিপিডিএ সারাদেশের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর চিকিৎসক হিসেবে যারা পরিচিত (বিএমডিসি’র রেজিষ্ট্রেশন ভুক্ত নয়)তাদেরকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে এসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে পরিচালিত উদ্যোগতা সৃষ্টি দক্ষতা বৃদ্ধি প্রকল্প ইএসডিপি হতে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে সাংগঠনিক কাজ করে আসছে।